মানব স্বাস্থ্য ও পরিবেশের সর্বনিম্ন ক্ষতি করে বা কোনো ক্ষতি সাধন না করে স্বল্প খরচে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাঙ্খিত উৎপাদ তৈরিই Green Chemistry এর মূল লক্ষ্য।

নীতিমালা:

১. বর্জ্য নিবারন: কল-কারখানায় উৎপাদিত বর্জ্য পরিষ্কার করার পরিবর্তে বর্জ্য যাতে উৎপন্ন না হয় এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিক্রিয়া ডিজাইন করতে হবে।

২. পারমানবিক মিতব্যায়িতা: উৎপাদ গঠন সংশ্লিষ্ট বিক্রিয়া এমন হতে হবে যাতে সর্বোচ্চ পরিমান বিক্রিয়ক বিক্রিয়া করে সর্বোচ্চ উৎপাদ গঠন করে।

৩. কম ঝুঁকিপূর্ণ পদার্থ সংশ্লেষণ: শিল্প-কারখানায় সংশ্লেষণ পদ্ধতি এমন হওয়া উচিত যাতে কম ক্ষতিকর পদার্থ উৎপন্ন হয়।

৪. নবায়নযোগ্য কাঁচামাল ব্যবহার: শিল্প-কারখানায় এমন কাঁচামাল ব্যবহার করা উচিত যা নবায়নযোগ্য ।

৫. প্রভারন: বিক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট এবং উপযুক্ত প্রভাবক ব্যবহার করতে হবে যাতে কম সময়ে অধিক উৎপাদ পাওয়া যায়।

ppm: অতিলঘু দ্রবনের ঘনমাত্রা প্রকাশের প্রচলিত এবং কার্যকরী পদ্ধতি হলো ppm বা Parts per million একক।

1 ppm=1 mg/L= 1 $\mu g/mL$

ppm এককে,

$\frac{0.4}{10}g/mL=\frac{0.4\times {10}^6}{10}\mu g/mL=4\times {10}^4 \mu g/mL=4\times {10}^4 ppm$

$S=\frac{1000W}{MV}=\frac{1000\times 49}{98\times 500}=1M$

$H_{2}S{O}_4+2NaOH\to N{a}_{2}S{O}_4+2H_{2}O$

$10\% NaOH$ এর মোলারিটি, $S=\frac{10x}{M}=\frac{100}{40}=2.5 M$

$V_{NaOH}=\frac{50\times 1\times 2}{2.5}=40 mL$

(a) খাদ্য সংরক্ষণ মানে হলো, খাদ্য সংরক্ষক ব্যবহার করে, 

    (i) খাদ্যের পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রাখা,

    (ii) খাদ্যের স্থায়িত্বকাল বাড়ানো,

    (iii) খাদ্যে কোনো বিষাক্ত পদার্থ যুক্ত না হতে দেওয়া,

i) মিথেনের$\left({\mathrm{CH}}_4\right)$  অনুস্থিত তিনটি  H-পরমাণুকে তিনটি ক্লোরিন পরমাণু দ্বারা প্রতিস্থাপিত করলে ক্লোরোফরম পাওয়া যায়।

ii) 

i) এস্টার: জৈব কার্বক্সিলিক এসিডের $-\mathrm{OH}$ মূলকটি অ্যালকক্সি $\left({\mathrm{R}}^{\text{'}}-\mathrm{O}-\right)$ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হলে উৎপন্ন যৌগকে এস্টার বলে। এস্টারের সংকেত $\mathrm{R}-{\mathrm{COOR}}^{\text{'}}$ এখানে $\mathrm{R}$ ও ${\mathrm{R}}^{\text{'}}$ হলো অ্যালকাইল বা অ্যারাইল মূলক।

$\mathrm{RCOOH}+{\mathrm{R}}^{\text{'}}\mathrm{OH}\to {\mathrm{RCOOR}}^{\text{'}}+{\mathrm{H}}_2\mathrm{O}$

ii) পি.ভি.সি (পলিভিনাইল ক্লোরাইড) হলো একটি পলিমার।

iii) রাসায়নিক ডিটারজেন্ট হলো দীর্ঘ কার্বন শিকলযুক্ত অ্যালকাইল হাইড্রোজেন সালফেট $\left(\mathrm{R}-{\mathrm{SO}}_4\mathrm{H}\right)$ এর সোডিয়াম লবন $\left(\mathrm{R}-{\mathrm{SO}}_4\mathrm{Na}\right)$ অথবা দীর্ঘ কার্বন শিকলযুক্ত অ্যালকাইল বেনজিন সালফোনিক এসিডের সোডিয়াম লবন।

UV রশ্মি দ্বারা জালনোট শনাক্তকরনের মূলনীতি: কারেন্সি নোটে security device রূপে অপটিকেল ফসফোর নামক বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়। UV রশ্মির ক্ষুদ্র তরঙ্গ দ্বারা ফসফোর অণুর ইলেকট্রন উত্তেজিত হয়ে উচ্চতর শক্তিস্তরে উত্থিত হয়। পরক্ষণে ফসফোর অণুর উত্তেজিত ইলেকট্রন অস্থিতিশীল উত্তেজিত অবস্থা থেকে সুস্থিত অবস্থায় ফেরার পথে পূর্বের শোষিত শক্তি দৃশ্যমান আলোর নির্দিষ্ট বর্ণের ফ্রিক্যুয়েন্সিতে বিকিরিত হয়। এ নীতির ওপর ভিত্তি করেই জাল টাকা/পাসপোর্ট শনাক্তকরণে UV রশ্মি ব্যবহৃত হয়।

100 টি অক্সিজেন পরমাণুর সর্বমোট ভর

$=\left(16\times 99.76+17\times 0.037+18\times 0.204\right)=1600.461 a.m.u$

$\therefore$একটি অক্সিজেন পরমাণুর গড় ভর $=\frac{1600.461}{100}=16.00461 a.m.u$

$\therefore$অক্সিজেনের পারমানবিক ভর $=16.00461 a.m.u$